top of page
Search

Differences between demand pull inflation and cost push inflation

  • Writer: Prof Manotosh Chakravarty
    Prof Manotosh Chakravarty
  • Jul 9, 2020
  • 2 min read

প্রশ্ন: চাহিদা বৃদ্ধিজনিত ও ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পার্থক্য লিখ।(Write down the differences between demand pull inflation and cost push inflation .)


উ: ১. সংজ্ঞা ভিত্তিক পার্থক্য : উৎপাদন বা যােগান যখন চাহিদার তুলনায় কম বাড়ে বা যােগান একেবারেই বাড়ে না, সে অবস্থায় সমাজের মােট চাহিদা বাড়তে থাকলে তা দামকে উপরে টেনে তােলে- এরূপ অবস্থায় দামস্তরের ক্রমবৃদ্ধিকে চাহিদা-আকর্ষিত বা চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি (demand pull inflation) বলা হয়।

অপর দিকে মজুরী বেড়ে গেলে, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপকরণের ব্যয় বাড়লে, উদ্যোক্তার মুনাফার প্রত্যাশা বাড়লে বুঝতে হবে সম্পদের বা উপাদান নিয়োগ বাবদ ব্যয় বাড়ছে, এর ফলে সামগ্রিক যােগান-দাম (supply price ) বাড়ে, তখন যে মূল্যস্ফীতি ঘটে, তাকে ব্যয়-ধাক্কাজনিত বা ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি (cost push inflation) বলে।

২. চিত্রগত পার্থক্য: চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে AD এর ডান দিকে স্থানান্তর লক্ষ্য করা যায়। চিত্রে AS সামগ্রিক যােগান রেখা। AD1, AD2, AD3, AD4 হলাে সামগ্রিক চাহিদা(AD) রেখা। a থেকে b তে যােগান বা উৎপাদন বাড়লেও যে কোন বাধার কারণে তা চাহিদার সংগে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে বাড়তে পারে না, ফলে দামস্তর বাড়ে P1 থেকে P2 তে । সামগ্রিক দামস্তর বৃদ্ধির এ অবস্থাকে বাধাজনিত(bottleneck) চাহিদা মুদ্রাস্ফীতি বলে ।







আর e থেকে f তে সামগ্রিক যোগান স্থির থেকে চাহিদা বাড়লে দামস্তর বাড়ে P3 থেকে P4 তে । যোগান স্থির থেকে কেবল চাহিদার কার্যকারণ দ্বারা এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেওয়ায় তাকে প্রকৃত বা বিশুদ্ধ(Real/ pure) চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি বলে। চাহিদা-দাম বৃদ্ধির সম পরিমাণে (দুটি চাহিদা রেখার উল্লম্ব ব্যবধানের সমান) এখানে দামস্তর বৃদ্ধি ঘটে।

ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে AS এর বাম দিকে স্থানান্তর লক্ষ্য করা যায়। AD নির্দিষ্ট থেকে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে AS বাম দিকে স্থানান্তরিত হয়ে AS1 থেকে AS2 ও AS3 হলে দামস্তরও P1 থেকে বেড়ে P2 ও P3 হয়। এভাবে তখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও যােগান হ্রাসের কারণে সামগ্রিক দামস্তর বাড়ে , অর্থাৎ ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।







৩. কারণগত পার্থক্য: চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতিতে চলতি মূল্যে সামগ্রিক চাহিদার বৃদ্ধি প্রকাশ পায়। অর্থের অতিরিক্ত যােগান, সরকারী ব্যয় বৃদ্ধি, করের পরিমাণ হ্রাস, ভােগ ও বিনিয়ােগ ব্যয় বৃদ্ধি এসবের দ্বারা সামগ্রিক চাহিদা বাড়ে। অপরদিকে উৎপাদন কমে গেলে বা সংগঠনের মুনাফা অর্জনের প্রবণতা বেশী হলে বা মজুরী বাড়লে ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।

৪. একচেটিয়া বাজারের প্রভাবভিত্তিক পার্থক্য: শ্রমিক ইউনিয়নের একচেটিয়া কার্যকলাপ ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ। তবে অনেক সময় দ্রব্য বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণও এর জন্য দায়ী। চাহিদাজনিত মুদ্রাস্ফীতিকালে এরকম বাজারের তেমন ভূমিকা নেই।


৫.বাহ্যিক উপাদান এর প্রভাবভিত্তিক পার্থক্য: ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতিতে বাহ্যিক উপাদান যেমন বহির্বিশ্বের ঘটনা প্রভাব বিস্তার করে। তেলের দাম বৃদ্ধি ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু চাহিদাজনিত মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে বাহ্যিক উপাদানের ভূমিকা নগণ্য।

৬.মুদ্রাস্ফীতির স্থায়িত্ব প্রেক্ষিত পার্থক্য: ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতির স্থায়িত্ব স্বল্পকালীন। যদি সেই মুদ্রাস্ফীতির পিছনে চাহিদা-মুদ্রাস্ফীতির সমর্থন থাকে, তবেই তা দীর্ঘকাল ধরে চলতে পারে, কিন্তু সমর্থন না থাকলে তা বেশী দিন চলতে পারে না। অপরদিকে চাহিদা-মুদ্রাস্ফীতি অবস্থা-বিশেষে স্বল্পমেয়াদে কিংবা দীর্ঘমেয়াদে এককভাবে চলতে পারে।

৭. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রেক্ষিতে পার্থক্য: দু’প্রকার মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে নিয়ন্ত্রণের দিক থেকেও নীতিগত কতগুলাে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন মজুরির সীমা নির্ধারণ, একচেটিয়া ব্যবসায়ীর উপর বিধি-নিষেধ আরােপ, এ সবের দ্বারা ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতি দূর করা যায়। অপর পক্ষে চাহিদাজনিত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আর্থিক ও রাজস্ব নীতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


ধন্যবাদ।

-প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী

Email: manotosh.chakravarty@gmail.com

 
 
 

Comments


bottom of page